বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার পরিস্থিতি’ নিয়ে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়েছে। এতে রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের মানবিক প্রচেষ্টাকেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যৌথভাবে সাধারণ পরিষদের থার্ড কমিটিতে এই প্রস্তাব উত্থাপন করে। ১০৯টি দেশ এ প্রস্তাবে সহ-পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, যা ২০১৭ সালের পর সর্বোচ্চ।

বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ আইসিসি, আইআইএমএম ও অন্যান্য দায়বদ্ধতা নিরূপণকারী ব্যবস্থার সঙ্গে যেভাবে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে তা প্রশংসিত হয়েছে। জাতিসংঘের এই প্রস্তাবটি রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি বিভিন্ন অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংহতি প্রকাশের একটি অনন্য উদাহরণ।

‘রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বার্ডেন শেয়ারিং’ নীতির আওতায় বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে এবারের প্রস্তাবে (রেজুলেশন)।

এতে আরো বলা হয়, রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করার পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এ বিষয়ে মিয়ানমারে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতসহ জাতিসংঘের সবগুলো মানবাধিকার ব্যবস্থাপনাকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

এছাড়া মিয়ানমারের রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে আঞ্চলিক দেশ ও সংস্থাগুলো-যেমন আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে সর্বসম্মতিক্রমে আসিয়ান গৃহীত পাঁচ দফা সুপারিশের দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরত্ব দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবে।